অস্ট্রেলিয়ায় অনলাইন চাকরির আবেদন করার সময় কিছু নির্দিষ্ট টিপস এবং বেসিক জ্ঞান জানা জরুরি। এর মাধ্যমে আপনি একটি ভালো ইমপ্রেশন তৈরি করতে পারবেন এবং চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে পারবেন। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা হলো:
১. পেশাদার সিভি (CV) তৈরি:
অস্ট্রেলিয়ায় চাকরির জন্য আবেদন করার আগে একটি পেশাদার সিভি তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। সিভিতে আপনার শিক্ষা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং অর্জনগুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন। অস্ট্রেলিয়ায় সাধারণত রিভার্স ক্রোনোলজিক্যাল (সর্বশেষ চাকরিটি আগে উল্লেখ করে) ফরম্যাটে সিভি তৈরি করা হয়। সিভির দৈর্ঘ্য সাধারণত দুই পৃষ্ঠা হতে পারে, তবে আপনার অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে এটি পরিবর্তিত হতে পারে।
আপনার জন্য পেশাদার মানের রেজিউম এবং কভার লেটার তৈরি করে দিচ্ছি আমরা, Tovisa.net-এ। আমরা বিভিন্ন দেশের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাটে রেজিউম তৈরি করে থাকি, যার মধ্যে রয়েছে:
- কানাডা ফরম্যাট
- যুক্তরাষ্ট্র ফরম্যাট
- ইউরোপাস ফরম্যাট
- নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ফরম্যাট
- কাস্টম ফরম্যাট
প্রতিটি ফরম্যাটের জন্য খরচ মাত্র ৫০০ টাকা। আপনি যদি দুটি ফরম্যাট নিতে চান, তাহলে খরচ হবে ৮০০ টাকা। তিনটি ফরম্যাটের জন্য খরচ ১০০০ টাকা। এই মূল্য সর্বোচ্চ ২ পৃষ্ঠার রেজিউমের জন্য প্রযোজ্য। যদি রেজিউম ২ পৃষ্ঠার বেশি হয়, তবে প্রতি অতিরিক্ত পৃষ্ঠার জন্য ১০০ টাকা করে খরচ হবে। যেকোনো ফরম্যাটের রেজিউম অর্ডার করলে, একটি ১ পৃষ্ঠার কভার লেটার ফ্রি পাবেন। তবে শুধুমাত্র কভার লেটার চাইলে, ২ পৃষ্ঠার কভার লেটারের জন্য খরচ ২০০ টাকা, অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্ঠার জন্য ১০০ টাকা করে খরচ হবে। কাস্টম ফরম্যাটের জন্য ১ পৃষ্ঠার হলে ৫০০ টাকা, প্রতি অতিরিক্ত পৃষ্ঠার জন্য ২০০ টাকা।
- বিকাশ , নগদের মাধ্যমে ফি দিতে পারবেন।
- ইমেইলে যোগাযোগ করুন- tovisabd@gmail.com
২. কভার লেটার:
কভার লেটার একটি সংক্ষিপ্ত চিঠি যা আপনার সিভির সাথে সংযুক্ত করা হয়। এতে আপনি কেন এই চাকরির জন্য উপযুক্ত তা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করবেন। কভার লেটারটি সংক্ষিপ্ত হলেও প্রভাবশালী হওয়া উচিত, এবং বিশেষভাবে যে পদের জন্য আবেদন করছেন, তা উল্লেখ করে লিখুন।
সিভি অর্ডার করলে আমরা কভার লেটার ফ্রী প্রোভাইড করে থাকি।
৩. চাকরির বিবরণ অনুসারে আবেদন:
প্রতিটি চাকরির জন্য আবেদন করার সময়, চাকরির বিবরণ (Job Description) ভালোভাবে পড়ে নিন এবং আপনার সিভি ও কভার লেটার সেই অনুযায়ী তৈরি করুন। চাকরির বিবরণে উল্লেখিত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সাথে আপনার দক্ষতা মেলানোর চেষ্টা করুন। অপ্রাসঙ্গিক তথ্য দেওয়ার থেকে বিরত থাকুন।
৪. অনলাইন প্রোফাইল এবং নেটওয়ার্কিং:
অস্ট্রেলিয়ার অনেক নিয়োগকর্তা লিংকডইন (LinkedIn) প্রোফাইল দেখেন। তাই একটি পেশাদার লিংকডইন প্রোফাইল তৈরি করুন এবং তা নিয়মিত আপডেট রাখুন। নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে আপনি অনেক চাকরির সুযোগ সম্পর্কে জানতে পারেন। লিংকডইনে সম্পর্কিত পেশাজীবীদের সাথে কানেক্ট করুন এবং পেশাদার গ্রুপে যুক্ত হোন।
৫. ভাষা এবং সংস্কৃতি:
অস্ট্রেলিয়ার চাকরির বাজারে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অপরিহার্য। ইংরেজি আপনার দ্বিতীয় ভাষা হলে, আপনি আপনার যোগাযোগ দক্ষতা উন্নত করতে পারেন। এছাড়াও, অস্ট্রেলিয়ার কর্মসংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়া জরুরি। তারা সাধারণত সরাসরি এবং খোলামেলা যোগাযোগ পছন্দ করে, তাই আপনার আবেদনপত্রেও এটি প্রতিফলিত হওয়া উচিত। (তবে কিছু কিছু কাজের ক্ষেত্রে ভাষা দক্ষতা না থাকলে হয়।)
৬. প্রযুক্তি ব্যবহার:
অনলাইন আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি যেমন ইমেইল, ড্রপবক্স, গুগল ড্রাইভ ইত্যাদি ব্যবহার করতে জানুন। আবেদন জমা দেওয়ার আগে আপনার সিভি ও কভার লেটার প্রুফরিড করুন এবং ফাইলের ফরম্যাট সঠিক (সাধারণত PDF) আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
৭. আবেদন ফলো-আপ:
আপনার আবেদন জমা দেওয়ার পর কিছু সময়ের জন্য প্রতিক্রিয়া না পেলে, ভদ্রভাবে ফলো-আপ করুন। একটি ইমেইল বা ফোন কলের মাধ্যমে আবেদন সম্পর্কে জানতে চান এবং প্রয়োজনে অতিরিক্ত তথ্য সরবরাহ করার প্রস্তাব দিন।
৮. বিভিন্ন চাকরি পোর্টাল:
অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় চাকরি পোর্টাল যেমন Seek, Indeed, এবং LinkedIn-এ নিয়মিত চাকরির বিজ্ঞপ্তি খুঁজুন। এছাড়াও, নির্দিষ্ট কোম্পানির ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি আবেদন করতে পারেন।
৯. ইন্টারভিউ প্রস্তুতি:
অনলাইন চাকরির আবেদন সফল হলে, ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। ইন্টারভিউতে সাধারণত স্কিল এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়, তাই সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিন। এছাড়া ভার্চুয়াল ইন্টারভিউর ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলির দিকে নজর দিন, যেমন ইন্টারনেট সংযোগ, ক্যামেরা, এবং মাইক্রোফোনের কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কিনা।
১০. ধৈর্য্য এবং মনোবল:
চাকরির জন্য আবেদন করা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া হতে পারে, তাই ধৈর্য্য রাখুন এবং মনোবল ধরে রাখুন। প্রতিটি আবেদন থেকে কিছু শিখুন এবং পরবর্তী আবেদনের সময় সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগান।
এই টিপসগুলো মেনে চললে, আপনি অস্ট্রেলিয়ায় অনলাইন চাকরির আবেদন প্রক্রিয়ায় সফল হতে পারেন।
নিচে কাজের আবেদনের জন্য কিছু ভেরিফাইড ওয়েবসাইট লিঙ্ক আছে। সেখান থেকে আবেদন করতে পারেন।
- https://www.mla.com.au/
- https://www.seek.com.au/
- https://au.indeed.com/
- https://au.linkedin.com/jobs/search?position=1&pageNum=0
- https://www.workforceaustralia.gov.au/individuals/
- https://www.careerone.com.au/jobs/in-australia
ধন্যবাদ
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করার অনুরোধ রইল।